ইতোমধ্যে বাগানগুলো সবুজ লিচুতে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে লিচু দেখে চাষিরা খুশি। চলতি বছর লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন মাগুরার লিচু চাষীরা। তবে এবার আবহাওয়ার বিরুপ আচরণের কারণে কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। ব্যাপক শিলাবৃষ্টির ফলে মুকুল থেকে বের হওয়া লিচুর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফলে চাষিদের দুশ্চিন্তা আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে। কোটি টাকার লিচু এখন নির্ভর করছে সম্পূর্ণ আবহাওয়ার ওপর।
কৃষকরা আশা করছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বাম্পার ফলন হবে লিচুর। আগামী তিন সপ্তাহের ভেতরে লাল লিচুতে ভরে যাবে বাগান। তাই প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
আলাইপুর গ্রামের লিচুবাগান মালিক সামছু জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে লিচু বাগান করেছেন। গাছ রয়েছে ১২০টি। গত দুই বছর সব গাছে লিচু ধরেনি, তাতেও দেড় লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। এবার তার সব গাছে লিচু ধরেছে । আবহাওয়া প্রথম দিকে অনুকূলে না থাকায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
গত কদিন আবার ভালো আবহাওয়ার কারণে তিনি এবার ৪/৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। দ্বারিয়াপুরের বিল্লালের ৩ বিঘা জমিতে লিচুবাগান। তিনি বলেন, এবার প্রচন্ড রোদ ও খরতাপের কারণে একটু মুকুলের ক্ষতি হয়েছিল, কিন্তু এখন সবুজ লিচু ভালোমতোই বড় হচ্ছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত ফলন বেশি হবে গত তিন বছরের তুলনায়।
মাগুরা জেলায় ৫ জাতের লিচুচাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশি জাত, চায়না ২, ৩, ৪ এবং বোম্বে চায়না ২, ৩, ৪। গত বছর বোম্বে চায়না ৩ জাতের লিচুর শ’ ছিল ৪শ থেকে ৫শ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, এখন কৃষকদের লিচুবাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপশি কৃষি বিভাগ এ সম্পর্কিত সবরকম সহযোগিতাও দিচ্ছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার মাগুরাতে লিচুর বাম্পার ফলন আশা করা যায়। সবসময় লিচু চাষিদের সহযোগিতা অব্যাহত আছে।