দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা

দেশে ফিরলেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নাহিদ। এরপর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে ফিরলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে শেখ হাসিনাকে।

নাহিদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা কেন দেশ ছেড়ে পালালেন তা জানতে আমি খুব ইচ্ছুক।

শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত হওয়ায় ওই হত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে।’
দেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করবে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে নির্বাচন কমিশনে সংস্কার ও সংবিধানের সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান তিনি। তাই আগামী নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নয়, বরং শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ভারত। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। ভারতেরও তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ভাবা উচিত। না হলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা সমস্যার কারণ হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তখন এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা আর রাজনীতি করবেন না বলে জানালেও সম্প্রতি কয়েকটি সাক্ষাৎকারে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরে আসবেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই দেশে ফিরবেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট www.hsd.gov.bd-এ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd-এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন ও সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই, সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদেরকে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ক) শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।

চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদেরকে উপযুক্ত প্রমাণকসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রাথমিক অভিযোগ উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট থেকে। যেখানে বলা হয় আওয়ামী পরিবারের জাহিন রোহান রাজিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সঙ্গে সমন্বয়ক পরিচয়ে বিল ক্লিনটনের প্রোগ্রামে আসেন।

অথচ তিনি আন্দোলনেই ছিলেনই না! সমন্বয়ক তো বহু পরের বিষয়।
এর পরই বিষয়টি নিয়ে মাহফুজ আলম ফেসবুকে পোস্টে করেন। যেখানে তিনি বলেন, সিজিআই ইভেন্টের লোকটা একজন অনুপ্রবেশকারী এবং অসাধু লোক ছিল। তিনি সিজিআই ইভেন্টে যোগদান করেছেন নিজ থেকে।

তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা ছিল না সেখানকার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের।

তিনি প্রতিনিধি দলের কারো সঙ্গে আগে যোগাযোগ করেননি। স্যার যখন আমাদের স্টেজে ডেকেছেন তখন তাড়াহুড়া করে দাঁড়িয়ে আমাদের আগে স্টেজের দিকে দৌড়ে গেলেন। আমি ওই লোকটাকে স্টেজে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারলাম না, যদিও আমি সন্দিহান ছিলাম।

বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে আবারও অসহায় হলাম।
মনে হচ্ছে, এই কূটাঘাত ওই ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থান এর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকব।