এবার মেহেরপুর কন্দাল জাতের লতি কচু বাণিজ্যিক চাষাবাদে বাজিমাত করেছেন চাষিরা। কচুর লতি চাষে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা। লতিরাজ কচুর জন্য দেশজুড়ে রয়েছে মেহেরপুর জেলার সুখ্যাতি।
চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে লতির চাষ হচ্ছে। লতিকচু ও কন্দাল জাতের লতিকচু একই হলেও কন্দাল জাতে ফলন বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলা শহরের উপকন্ঠে দিঘিরপাড়া গ্রামের আউয়াল জানান, লতি চাষ একটি লাভজনক কৃষি। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও বীজ হিসেবে রোপণের জন্য চারা বিক্রি করেছেন ৫ হাজার টাকার।
কচুর লতি চাষি গোলাম হোসেন জানান, ‘কচু একবার লাগালে লতি, মুখী (ছড়া), ফুলসহ কয়েক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর বাজারে এসবের চাহিদাও ভালো। তাই প্রতি বছর চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার কৃষি অফিসার নাসরিন পারভীন জানান, বসতবাড়ির আশেপাশে স্যাতস্যাতে জমিতে সহজেই লতিকচু চাষ করা যায়। এতে করে একদিকে যেমন পুষ্টিচাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। মেহেরপুরের লতিকচু ভবিষ্যৎতে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।