কাঠলিচু গাছ মধ্যম আকারের চিরসবুজ গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Dimocarpus longan, যা ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৃক্ষ। এই গাছ ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের পুষ্প পুংপুস্পক এবং উভলিঙ্গ, পুংকেশর ৮টি। কাঠলিচুর ফল ঝুলন্ত এবং আঙ্গুরের মতো গুচ্ছাকার।
কাঠলিচু একপ্রকার লিচু জাতীয় সুস্বাদু ফল। এ ফলে প্রচুর শর্করা, ভিটামিন-সি এবং খনিজ উপাদান আছে। বেলেমাটি এই গাছের জন্য ভাল। কাঠলিচু এবং লিচু গাছের ফল ধরার সময় একই। স্বাদ ও ঘ্রাণে লিচুর কাছাকাছি থাকা এই ফলকে বাচ্চারা মুঠোয় ভরে খেতে খুবই পছন্দ করে। লংগান বা আঁশফল নামেও অনেক এলাকায় এর পরিচিতি আছে। বিদেশেও কাঠলিচুকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- মায়ানমারে কিয়েট মৌক, ভিয়েতনামে নাহান, কম্বোডিয়ায় মিয়েন, ইত্যাদি।
উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে কাঠলিচুর আদি নিবাস মালয় উপদ্বীপ। থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানে কাঠলিচুর প্রচুর চাষ হয়। এই গাছ বাংলাদেশেও জন্মে। বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও গ্রামের হাট-বাজারে কাঠলিচু বিক্রি হতে দেখা যায়। আমিষগুণে ভরা এ ফলের কদর থাকলেও পরিচিতি কম। শহরাঞ্চলেও কাঠলিচু গাছ দেখা যায়। তবে শহরের অনেকেই জানেন না, এ ফল খাওয়া যায়।