সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও শিল্পপতি সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট থেকে নিউমার্কেট থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. মাইনুল হাসান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। আত্মগোপনে আছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। কেউ কেউ আবার দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানাল পুলিশ।

আইনজীবী আনিসুল হক ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া ও কসবা) থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেবারই তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

এদিকে সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে তাকে নিজের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সালমান এফ রহমান তার ভাইয়ের সঙ্গে ১৯৭৬ সালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীতে লন্ডন শেয়ার বাজারের বিকল্প বিনিয়োগ বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বেক্সিমকো ফার্মার ঔষধ যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ঔষধ প্রশাসনসহ (এফডিএ) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষের রপ্তানির অনুমোদন লাভ করে। ১৯৮২ সালে তারা দুবাই ভিত্তিক গালাধারী ভাই গ্রুপের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে এবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৮৫ সালে সালমান তার শেয়ার অন্য অংশীদারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। তারা পরবর্তীতে আইএফআইসি ব্যাংকের ৩০ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেন এবং সালমান ২০১০ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এ ছাড়াও তিনি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মালিক। তিনি দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যানও।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। আর ৭ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়