আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়ে যা জানা গেল

জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ২১ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারকে প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দিতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে পুনর্গঠনের কথাও জানিয়েছে রাজনৈতিক দলাটি।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারা ব্যক্তিগতভাবে অপরাধ করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তারা অপরাধী হলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। এটা হচ্ছে ব্যক্তির বিচারের ক্ষেত্রে। আর দল হিসেবে পুরো দলটাই হত্যায় শরীক হয়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াল? একটা দল পুরো দায়িত্ব নিয়ে নিল সন্ত্রাস করার এবং সেটিই হলো। অনেক প্রাণ ঝরে গেল। সন্ত্রাসীদের যখন বাহিনী হিসেবে দলীয় ব্যানারে নামিয়ে দেওয়া হলো, তখন বিশ্বের বহু দেশে এমন নজির আছে যে, এমন গণহত্যা যারা করে, তাদের আর সেদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখনো দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাননি তারা। এ বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।’

এ ছাড়া আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় আইনি বিচারের ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।