‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগান নিয়ে রাজধানীর পাঁচ স্থানে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি করবে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)। এসব স্থানে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত এই তরমুজ বিক্রি হবে। গতকাল বুধবার বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাফার ব্যবস্থাপনায় ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৫টি স্থানে তরমুজ বিক্রি করা হবে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ সেখানে বিক্রি করবেন। পরবর্তীতে এর পরিসর আরো বাড়ানো হবে।
পাঁচটি স্থান হলো—খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন— এ রকম খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। গত কয়েক দিন ধরেও আমরা গণমাধ্যমে দেখছি, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে।