চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন ও দামে খুশি চাষিরা

চলতি বছর নেত্রকোনা জেলার সর্বত্রই চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশে চাল কুমড়ার ব্যাপক চাহদিয়া থাকায় কাঙ্ক্ষিত দামও পাচ্ছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,চলতি রবি মওসুমে নেত্রকোণা জেলায় ২ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। চলতি রবি মওসুমে নেত্রকোণা জেলায় ২ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় এ বছর চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল কুমড়া উৎপাদিত হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৬ কোটি টাকা।

কুমড়া চাষি মি৮লন জানান, স্থানীয় পাইকারদের কাছে প্রতিটি চাল কুমড়া গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এক কাঠা জমি থেকে কৃষকের আয় হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। চাল কুমড়া ছাড়াও লাউ, শসা, বেগুন, জিঙ্গে, কপি, টমেটো, চাল কুমড়াসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করছি।চ

তিনি আরও বলেন, গতবার দেড় একর জমিতে চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ও ফুলকপির আবাদ করে ৯ লক্ষ টাকা আয় করেছিলাম। এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার চাল কুমড়া, টমেটো, বেগুন বিক্রি করেছি।

বারহাট্টা উপজেলার ধলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমার অনেক জমি পতিত থাকতো। এই বছর ৩০ কাঠা জমিতে চাল কুমড়া চাষ করেছি। ভাল ফলন হয়েছে। স্থানীয় পাইকাররা জমি থেকেই মণ প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এ বছর জেলায় ব্যাপকভাবে চাল কুমড়ার চাষ হয়েছে। বাজারে চাষিরা ভাল দামও পাচ্ছেজন। পতিত জমিতে ভাল শাক-সবজি উৎপাদিত হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন শাকসবজি আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ মূলক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।