মালবেরি চাষে ঝুঁকছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা

পাকা ফল রসালো এবং টক-মিষ্টি স্বাদের। ফ্যাটবিহীন সুমিষ্ট স্বাদযুক্ত এই ফলটি খুবই পুষ্টিকর। প্রতিটি গাছ থেকে ৮-১০ কেজি ফল সংগ্রহ করা যায়। মালবেরি বা তুঁত ফল চাষে ঝুকছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা। বর্তমান সময়ে ব্যাপক চাহিদা ও দাম থাকায় এই সুস্বাদু ফলটি চাষিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মালবেরি ফল দেখতে সবুজ, লাল ও কালো রং হওয়ায় ফলটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। তুঁত গাছের পাতা রেশম উৎপাদনের গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। সে হিসেবে তুঁত ফল হিসেবেই বেশি পরিচিত।

উচ্চমূল্যের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মালবেরির বাগান করছেন জেলার বোদা উপজেলার মাসুদ রানা। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে লাগান ১৫টি চারা। এটি আবাদ করতে তেমন খরচ নেই। রোগবালাইও খুব কম। তেমন কীটনাশক লাগে না। গাছে পাতার চেয়ে ফলই বেশি। সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে। মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকতে শুরু করে। তবে সারা বছরই মিলে এ ফল।

তিনি বলেন, ফলটি বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এবং বাজারজাত করা হয়। বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নতুন এই ফলটি আমি পরীক্ষামূলকভাবে থাইল্যান্ড, ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আটটি জাতের ১০টি গাছ সংগ্রহ করে এই মালবেরি চাষ করেছি এবং পরীক্ষামূলকভাবে চাষে প্রতিটা গাছে ফল এসেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ মো. নইমুল হুদা সরকার বলেন, তুঁত কিংবা মালবেরি একটি অপ্রলিত ফল। আগে এর প্রচুর চাষ হলেও মাঝে অনেকদিন চাষ করা থেকে চাষিরা বিরত ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মালবেরির পুষ্টিগুণ ও বাজার চাহিদা থাকায় এর চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শমুলক সেবা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।